#ডার্ক এবং #ডীপ ওয়েব পিপাসুদের জন্য আমাদের ধারাবাহিক সাত পর্বের আজকে ৫ম পর্ব।
আমরা প্রথম পর্বে জেনেছিলাম ডার্ক ওয়েব, ডীপ ওয়েব এবং সার্ফেস ওয়েব সম্পর্কে। টর ব্রাউজার দিয়ে হয়তো অনেকেই ডীপ ওয়েবে ঘাটাঘাটি শুরু ও
করে দিয়েছেন। ২য় পর্বে
জানিয়েছিলাম বিটকয়েন সম্পর্কে।
ডীপ ওয়েবের উপকারী অংশ গুলো নিয়ে কথা হয়েছিলো। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন সহ অসংখ্য তথ্য গুলো নিয়ে সাজানো হয়েছিলো আমাদের ৪র্থ তম পর্যন্ত
পর্বগুলো।
আজকে আলোচনা করবো ইন্টারনেট জগতের অন্ধকার এক সুড়ঙ্গ ‘সিল্ক রোড’ নিয়ে।
সিল্ক রোড কি?
সিল্ক রোড মূলত ডাকাতদের চলাচলের পথ হিসেবে যে আঁকাবাঁকা দূর্গম রাস্তাকে ব্যাবহার করতে তাকেই এই নামে ডাকা হতো। কিন্তু ডার্ক ওয়েবে
‘সিল্ক রোড’ নামের সঙ্গে লুকিয়ে
রয়েছে নজরদারির আড়ালে এক বিশাল অন্ধকার জগত্। অস্ত্র, মাদকসহ নানা অবৈধ পণ্যের বিশাল এক অনলাইন বাজার সিল্ক রোড।
সম্প্রতি ‘সিল্ক রোড’ নামের এই
অনলাইন বাজার বন্ধ করে দিয়ে এর রহস্য উন্মোচন করলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এফবিআইয়ের দাবি, এই সাইটটি থেকে মাদক ও অবৈধ বিভিন্ন পণ্যের লেনদেন করা হয়।
এফবিআইয়ের একজন মুখপাত্র
জানিয়েছেন, সিল্ক রোড সাইটটি
বন্ধের পাশাপাশি ২ অক্টোবর
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো থেকে
একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ
ছাড়াও প্রায় ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার আর্থিক মূল্যের বিটকয়েন নামের ভারচুয়াল মুদ্রাও জব্দ করেছে এফবিআই।
এফবিআই দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিটকয়েন জব্দ হওয়ার ঘটনা এটি।
সিল্ক রোড নামের এই সাইটটিতে
প্রবেশ করতে ব্যবহারকারীদের ‘টর’ নামে একটি ব্রাউজিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হতো। [ টর ব্রাউজার নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই প্রথম পর্বে আলোচনা করেছিলাম।]
‘টর’ হচ্ছে বিশেষ সফটওয়্যার যার মাধ্যমে নিজের পরিচয় গোপন রেখে ওয়েব ব্রাউজিং করার সুযোগ পেতেন সিল্ক রোড ব্যবহারকারীরা।
এফবিআইয়ের হাতে ধরা পড়া উইলিয়াম আলব্রিচট নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক, কম্পিউটার হ্যাকিং পরিকল্পনা, মানি লন্ডারিংয়ের মামলা
হয়েছে।
অনলাইন কালোবাজারঃ
অবৈধ পণ্য কেনাবেচার জন্য
অনলাইনের কালোবাজার হিসেবে
কুখ্যাতি অর্জন করেছিল সিল্ক রোড। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিল্ক রোড যাত্রা শুরু করলেও এর আরও
আগে থেকে এর প্রস্তুতি চলছিল।
আমাজন ডটকম বা ইবে ডটকম যেমন ই-কমার্স সাইট হিসেবে খ্যাত তেমনি অনলাইনে মাদক কেনাবেচার সাইট হিসেবে সিল্ক রোড দ্রুত পরিচিতি পেয়েছিল। কিন্তু ২ অক্টোবর এফবিআই এ সাইটটি বন্ধ করে দিয়েছে।
বন্ধ করে দেওয়ার আগ
পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা এ সাইটে
বিনামূল্যে নিবন্ধন করতে পারতো।
তবে কেউ কিছু বিক্রি করতে চাইলে অর্থ খরচ করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হতো।
এখানে মাদক ছাড়াও
পর্নোগ্রাফি, চুরি করা ক্রেডিট
কার্ডের তথ্যসহ নানা অবৈধ জিনিসের লেনদেন হতো।
মাদক এবং অস্ত্রসহ অবৈধ পণ্য
বিক্রির অভিযোগে সিল্ক রোড ২সহ ৪০০ ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এর দুইদিন পরেই সিল্ক রোড টু চালু করা হলে অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠানো হয়।
সিল্ক রোডের স্থপতিকে আটকের
পাশাপাশি ব্যক্তিগত ল্যাপটপ থেকে
২৯ হাজার বিটকয়েন আটক করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে তিনি সিল্করোডের মাধ্যমে একলাখ ৭৪ হাজার বিটকয়েন সংগ্রহ করেছেন।\\
আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে
তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই
জানিয়েছিলো, সিল্ক রোডের
ব্যবহারকারীর সংখ্যা দশ লাখেরও
বেশি। কিন্তু এদের মধ্যে কতোজন
সক্রিয় ছিল, তা জানা সম্ভব হয়নি।
Credit: Cyber71
আমরা প্রথম পর্বে জেনেছিলাম ডার্ক ওয়েব, ডীপ ওয়েব এবং সার্ফেস ওয়েব সম্পর্কে। টর ব্রাউজার দিয়ে হয়তো অনেকেই ডীপ ওয়েবে ঘাটাঘাটি শুরু ও
করে দিয়েছেন। ২য় পর্বে
জানিয়েছিলাম বিটকয়েন সম্পর্কে।
ডীপ ওয়েবের উপকারী অংশ গুলো নিয়ে কথা হয়েছিলো। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন সহ অসংখ্য তথ্য গুলো নিয়ে সাজানো হয়েছিলো আমাদের ৪র্থ তম পর্যন্ত
পর্বগুলো।
আজকে আলোচনা করবো ইন্টারনেট জগতের অন্ধকার এক সুড়ঙ্গ ‘সিল্ক রোড’ নিয়ে।
সিল্ক রোড কি?
সিল্ক রোড মূলত ডাকাতদের চলাচলের পথ হিসেবে যে আঁকাবাঁকা দূর্গম রাস্তাকে ব্যাবহার করতে তাকেই এই নামে ডাকা হতো। কিন্তু ডার্ক ওয়েবে
‘সিল্ক রোড’ নামের সঙ্গে লুকিয়ে
রয়েছে নজরদারির আড়ালে এক বিশাল অন্ধকার জগত্। অস্ত্র, মাদকসহ নানা অবৈধ পণ্যের বিশাল এক অনলাইন বাজার সিল্ক রোড।
সম্প্রতি ‘সিল্ক রোড’ নামের এই
অনলাইন বাজার বন্ধ করে দিয়ে এর রহস্য উন্মোচন করলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। বিবিসি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এফবিআইয়ের দাবি, এই সাইটটি থেকে মাদক ও অবৈধ বিভিন্ন পণ্যের লেনদেন করা হয়।
এফবিআইয়ের একজন মুখপাত্র
জানিয়েছেন, সিল্ক রোড সাইটটি
বন্ধের পাশাপাশি ২ অক্টোবর
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো থেকে
একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ
ছাড়াও প্রায় ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার আর্থিক মূল্যের বিটকয়েন নামের ভারচুয়াল মুদ্রাও জব্দ করেছে এফবিআই।
এফবিআই দাবি করেছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিটকয়েন জব্দ হওয়ার ঘটনা এটি।
সিল্ক রোড নামের এই সাইটটিতে
প্রবেশ করতে ব্যবহারকারীদের ‘টর’ নামে একটি ব্রাউজিং সিস্টেম ব্যবহার করতে হতো। [ টর ব্রাউজার নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই প্রথম পর্বে আলোচনা করেছিলাম।]
‘টর’ হচ্ছে বিশেষ সফটওয়্যার যার মাধ্যমে নিজের পরিচয় গোপন রেখে ওয়েব ব্রাউজিং করার সুযোগ পেতেন সিল্ক রোড ব্যবহারকারীরা।
এফবিআইয়ের হাতে ধরা পড়া উইলিয়াম আলব্রিচট নামের ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদক, কম্পিউটার হ্যাকিং পরিকল্পনা, মানি লন্ডারিংয়ের মামলা
হয়েছে।
অনলাইন কালোবাজারঃ
অবৈধ পণ্য কেনাবেচার জন্য
অনলাইনের কালোবাজার হিসেবে
কুখ্যাতি অর্জন করেছিল সিল্ক রোড। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিল্ক রোড যাত্রা শুরু করলেও এর আরও
আগে থেকে এর প্রস্তুতি চলছিল।
আমাজন ডটকম বা ইবে ডটকম যেমন ই-কমার্স সাইট হিসেবে খ্যাত তেমনি অনলাইনে মাদক কেনাবেচার সাইট হিসেবে সিল্ক রোড দ্রুত পরিচিতি পেয়েছিল। কিন্তু ২ অক্টোবর এফবিআই এ সাইটটি বন্ধ করে দিয়েছে।
বন্ধ করে দেওয়ার আগ
পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা এ সাইটে
বিনামূল্যে নিবন্ধন করতে পারতো।
তবে কেউ কিছু বিক্রি করতে চাইলে অর্থ খরচ করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হতো।
এখানে মাদক ছাড়াও
পর্নোগ্রাফি, চুরি করা ক্রেডিট
কার্ডের তথ্যসহ নানা অবৈধ জিনিসের লেনদেন হতো।
মাদক এবং অস্ত্রসহ অবৈধ পণ্য
বিক্রির অভিযোগে সিল্ক রোড ২সহ ৪০০ ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এর দুইদিন পরেই সিল্ক রোড টু চালু করা হলে অভিযান নিয়ে প্রশ্ন উঠানো হয়।
সিল্ক রোডের স্থপতিকে আটকের
পাশাপাশি ব্যক্তিগত ল্যাপটপ থেকে
২৯ হাজার বিটকয়েন আটক করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে তিনি সিল্করোডের মাধ্যমে একলাখ ৭৪ হাজার বিটকয়েন সংগ্রহ করেছেন।\\
আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে
তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই
জানিয়েছিলো, সিল্ক রোডের
ব্যবহারকারীর সংখ্যা দশ লাখেরও
বেশি। কিন্তু এদের মধ্যে কতোজন
সক্রিয় ছিল, তা জানা সম্ভব হয়নি।
Credit: Cyber71
No comments