ডার্ক এবং ডীপ ওয়েব পিপাসুদের
জন্য আমাদের ধারাবাহিক সাত পর্বের আজকে ৪র্থ পর্ব।
আমরা প্রথম পর্বে জেনেছিলাম ডার্ক ওয়েব, ডীপ ওয়েব এবং সার্ফেস ওয়েব সম্পর্কে। টর ব্রাউজার দিয়ে হয়তো অনেকেই ডীপ ওয়েবে ঘাটাঘাটি শুরু ও
করে দিয়েছেন। ২য় পর্বে
জানিয়েছিলাম বিটকয়েন সম্পর্কে।
ডীপ ওয়েবের উপকারী অংশ গুলো নিয়ে কথা হয়েছিলো। আজকে হবে অপর অজানা অংশ নিয়ে। সর্বশেষ পর্বে বলেছিলাম সার্চ ইঞ্জিন গুলো, মানুষের
উপর গবেষনা সহ ডার্ক ওয়েবের
নিষিদ্ধ দিক গুলো নিয়ে।
আজ কথা হবে অনিয়ন নেটওয়ার্ক
নিয়ে বিস্তারিত এবং কেনো ডার্ক
ওয়েবের ব্যাবহারকারীদের খুঁজে পাওয়া যায় না তার সম্পর্কে। চলুন,একত্রে হারিয়ে যাই ইন্টারনেট এর রহস্যময় জগতে।
ডার্ক ওয়েব এ ব্যবহৃত নেটওর্য়াকের মধ্যে সারফেস ওয়েবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে পড়েছে এমন এক নেটওর্য়াক হল
অনিয়ন নেটওর্য়াক। অনিয়ন মূলত মার্কিন নেভির জন্য তৈরী করা হলেও এই নেটওর্য়াক আজ বিশ্বব্যাপী ছদ্মবেশী নেট ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দ।
অনিয়নে সাধারণ কোন ব্রাউজার দিয়ে ঢোকা যায় না। এজন্য ব্যবহার করতে হবে টর ব্রাউজার। টর ব্রাউজার কিভাবে চালাতে হয় তা নিয়ে আমাদের ইতিমধ্যেই একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
টর ব্রাউজার ব্যবহারকারীর পরিচয় লুকিয়ে ফেলে আর এর ফলে কারো পক্ষে ব্যবহারকারীর অবস্থান শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কেউ যখন টর দিয়ে কোন সাইটে ঢুকতে যাবে তখন টর ব্রাউজার তার এই রিকোয়েস্ট কঠিন এনক্রিপশনের মধ্য দিয়ে অনিয়ন প্রক্সিতে পাঠাবে।
অনিয়ন প্রক্সিতে পাঠানো সেই ডেটা আর ডেটা থাকে না, সেটি দুর্বোধ্য এক স্ক্রিপ্টে পরিণত হয়।এবার অনিয়ন প্রক্সি এই ডেটা নিয়ে মূল ইন্টারনেটমূখো হয় যেখানে স্বেচ্ছাশ্রম দেয়া সদস্যদের অনিয়ন রাঊটারগুলো অপেক্ষা করছে।অনিয়ন রাউটারে প্রবেশের আগে অনিয়ন নেটর্য়াকের
প্রবেশপথে এই ডেটা আবার
এনক্রিপশনের ভেতর দিয়ে যায়।
নেটওর্য়াক থেকে বের হওয়ার সময় আরো একবার এনক্রিপশনের ভেতর দিয়ে যায়।
পথিমধ্যে অনিয়নের বেশ
কিছু রাউটারের ভেতর দিয়ে
এনক্রিপশন হয় যেখানে এক এক
রাউটারে এনক্রিপশন আউটপুট এক এক রকম এবং কোন রাউটারই জানে না যে ডেটা কোন রাউটার থেকে আসছে।
সবশেষে ডেটা যখন প্রাপকের হাতে গিয়ে পৌছায় তা তখন ডিএনক্রিপশন প্রসেসের মাধ্যমে আদি অবস্থানে ফিরে আসে।
এই রকম অনেকগুলো লেয়ার বা খোসা থাকার কারণেই এই নেটওর্য়াকের নাম অনিয়ন নেটওর্য়াক।
এখন এই ডেটা চালাচালির সময় কেউ যদি এই ডেটা চুরি করতে সক্ষমও হয় তার পক্ষে এটা বের করা সম্ভব হবে না যে এটার প্রেরক কে বা প্রাপকই বা কে।
কেননা অনিয়ন রাউটারগুলো নিজেরাই এটা জানে না। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি দুই প্রান্তেই নজরদারী করতে পারে তাহলে সে বুঝতে পারবে সেন্ডার আর রিসিভার এর লোকেশন কোথায়। এই ধরণের দুর্বোধ্য সিস্টেমের কারণেই এই সমস্ত নেটওর্য়াক সব সময়ই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। ইতিমধ্যেই সিল্ক রোডের উদ্ভাবক, রস উলব্রিচ্যাট এফবিআই কর্তৃক গ্রেফতার হয়।
কিন্তু এফবিআই সিল্ক রোড নষ্ট
করে দিলেও ডার্ক ওয়েব এর কিছুই করতে পারেনি।
তবে সিল্ক রোড ২.০ খোলার
প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়ে গেছে ডার্ক ইউসারদের। খারাপ ভালো সবটাই জানতে হয় সবসময় ।
কোথায় থামতে হবে সেটুকু অনুভব করতে পারাটা মানুষ হওয়ার অন্যতম শিক্ষা । নিজেকে বাচানোর জন্য হলেও বিপদ সম্পর্কে জানতে হয় । অমঙ্গলকে না চিনলে মঙ্গলের সাক্ষাত পেয়েও তাকে হারাতে হয়। বিজ্ঞান যেভাবে এগুচ্ছে তাতে করে
হয়ত এই অন্ধকার জগতের রহস্য
একদিন সম্পূর্ণ উন্মোচিত হয়ে যাবে।এখন শুধু সময় পেরোনোর অপেক্ষা।
তথ্য সুত্রঃ ওয়ার্ল্ডক্রাঞ্চ ডার্ক ওয়েবের কিছু অনিয়ন লিংক....
জন্য আমাদের ধারাবাহিক সাত পর্বের আজকে ৪র্থ পর্ব।
আমরা প্রথম পর্বে জেনেছিলাম ডার্ক ওয়েব, ডীপ ওয়েব এবং সার্ফেস ওয়েব সম্পর্কে। টর ব্রাউজার দিয়ে হয়তো অনেকেই ডীপ ওয়েবে ঘাটাঘাটি শুরু ও
করে দিয়েছেন। ২য় পর্বে
জানিয়েছিলাম বিটকয়েন সম্পর্কে।
ডীপ ওয়েবের উপকারী অংশ গুলো নিয়ে কথা হয়েছিলো। আজকে হবে অপর অজানা অংশ নিয়ে। সর্বশেষ পর্বে বলেছিলাম সার্চ ইঞ্জিন গুলো, মানুষের
উপর গবেষনা সহ ডার্ক ওয়েবের
নিষিদ্ধ দিক গুলো নিয়ে।
আজ কথা হবে অনিয়ন নেটওয়ার্ক
নিয়ে বিস্তারিত এবং কেনো ডার্ক
ওয়েবের ব্যাবহারকারীদের খুঁজে পাওয়া যায় না তার সম্পর্কে। চলুন,একত্রে হারিয়ে যাই ইন্টারনেট এর রহস্যময় জগতে।
ডার্ক ওয়েব এ ব্যবহৃত নেটওর্য়াকের মধ্যে সারফেস ওয়েবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে পড়েছে এমন এক নেটওর্য়াক হল
অনিয়ন নেটওর্য়াক। অনিয়ন মূলত মার্কিন নেভির জন্য তৈরী করা হলেও এই নেটওর্য়াক আজ বিশ্বব্যাপী ছদ্মবেশী নেট ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দ।
অনিয়নে সাধারণ কোন ব্রাউজার দিয়ে ঢোকা যায় না। এজন্য ব্যবহার করতে হবে টর ব্রাউজার। টর ব্রাউজার কিভাবে চালাতে হয় তা নিয়ে আমাদের ইতিমধ্যেই একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
টর ব্রাউজার ব্যবহারকারীর পরিচয় লুকিয়ে ফেলে আর এর ফলে কারো পক্ষে ব্যবহারকারীর অবস্থান শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কেউ যখন টর দিয়ে কোন সাইটে ঢুকতে যাবে তখন টর ব্রাউজার তার এই রিকোয়েস্ট কঠিন এনক্রিপশনের মধ্য দিয়ে অনিয়ন প্রক্সিতে পাঠাবে।
অনিয়ন প্রক্সিতে পাঠানো সেই ডেটা আর ডেটা থাকে না, সেটি দুর্বোধ্য এক স্ক্রিপ্টে পরিণত হয়।এবার অনিয়ন প্রক্সি এই ডেটা নিয়ে মূল ইন্টারনেটমূখো হয় যেখানে স্বেচ্ছাশ্রম দেয়া সদস্যদের অনিয়ন রাঊটারগুলো অপেক্ষা করছে।অনিয়ন রাউটারে প্রবেশের আগে অনিয়ন নেটর্য়াকের
প্রবেশপথে এই ডেটা আবার
এনক্রিপশনের ভেতর দিয়ে যায়।
নেটওর্য়াক থেকে বের হওয়ার সময় আরো একবার এনক্রিপশনের ভেতর দিয়ে যায়।
পথিমধ্যে অনিয়নের বেশ
কিছু রাউটারের ভেতর দিয়ে
এনক্রিপশন হয় যেখানে এক এক
রাউটারে এনক্রিপশন আউটপুট এক এক রকম এবং কোন রাউটারই জানে না যে ডেটা কোন রাউটার থেকে আসছে।
সবশেষে ডেটা যখন প্রাপকের হাতে গিয়ে পৌছায় তা তখন ডিএনক্রিপশন প্রসেসের মাধ্যমে আদি অবস্থানে ফিরে আসে।
এই রকম অনেকগুলো লেয়ার বা খোসা থাকার কারণেই এই নেটওর্য়াকের নাম অনিয়ন নেটওর্য়াক।
এখন এই ডেটা চালাচালির সময় কেউ যদি এই ডেটা চুরি করতে সক্ষমও হয় তার পক্ষে এটা বের করা সম্ভব হবে না যে এটার প্রেরক কে বা প্রাপকই বা কে।
কেননা অনিয়ন রাউটারগুলো নিজেরাই এটা জানে না। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি দুই প্রান্তেই নজরদারী করতে পারে তাহলে সে বুঝতে পারবে সেন্ডার আর রিসিভার এর লোকেশন কোথায়। এই ধরণের দুর্বোধ্য সিস্টেমের কারণেই এই সমস্ত নেটওর্য়াক সব সময়ই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। ইতিমধ্যেই সিল্ক রোডের উদ্ভাবক, রস উলব্রিচ্যাট এফবিআই কর্তৃক গ্রেফতার হয়।
কিন্তু এফবিআই সিল্ক রোড নষ্ট
করে দিলেও ডার্ক ওয়েব এর কিছুই করতে পারেনি।
তবে সিল্ক রোড ২.০ খোলার
প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়ে গেছে ডার্ক ইউসারদের। খারাপ ভালো সবটাই জানতে হয় সবসময় ।
কোথায় থামতে হবে সেটুকু অনুভব করতে পারাটা মানুষ হওয়ার অন্যতম শিক্ষা । নিজেকে বাচানোর জন্য হলেও বিপদ সম্পর্কে জানতে হয় । অমঙ্গলকে না চিনলে মঙ্গলের সাক্ষাত পেয়েও তাকে হারাতে হয়। বিজ্ঞান যেভাবে এগুচ্ছে তাতে করে
হয়ত এই অন্ধকার জগতের রহস্য
একদিন সম্পূর্ণ উন্মোচিত হয়ে যাবে।এখন শুধু সময় পেরোনোর অপেক্ষা।
তথ্য সুত্রঃ ওয়ার্ল্ডক্রাঞ্চ ডার্ক ওয়েবের কিছু অনিয়ন লিংক....
No comments