ডার্ক এবং ডীপ ওয়েব পিপাসুদের
জন্য আমাদের ধারাবাহিক সাত পর্বের
আজকে ৩য় পর্ব।
আমরা প্রথম পর্বে জেনেছিলাম ডার্ক
ওয়েব, ডীপ ওয়েব এবং সার্ফেস ওয়েব
সম্পর্কে। টর ব্রাউজার দিয়ে হয়তো
অনেকেই ডীপ ওয়েবে ঘাটাঘাটি শুরু ও
করে দিয়েছেন। ২য় পর্বে
জানিয়েছিলাম বিটকয়েন সম্পর্কে।
ডীপ ওয়েবের উপকারী অংশ গুলো নিয়ে
কথা হয়েছিলো। আজকে হবে অপর
অজানা অংশ নিয়ে।
চলুন, একত্রে হারিয়ে যাই ইন্টারনেট
এর রহস্যময় জগতে।
ডীপ ওয়েবের সার্চ ইঞ্জিনঃ
১) টর্চ (Torch) : ডিপ ওয়েব সার্চ
ইঞ্জিন গুলোর মধ্যে মোটামোটি প্রথম
দিকে তৈরী সার্চ ইঞ্জিনটি এখনো
আগের মতই জনপ্রিয়। মিলিয়নের ও
অধিক হিডেন রেজাল্ট বের করতে পারে
এটি।
২)ডাক ডাক গো (Duck Duck
Go): ২০০৮ সালে প্রকাশ হওয়া এই
সার্চ ইঞ্জিন এখনো জনপ্রিয় সার্চ
ইঞ্জিনের তালিকায় রয়েছে। ছোটদের
খেলা duck, duck, goose থেকে
এর এমন নামকরন।
৩)অনিয়ন ক্যাব(onion cab) :
এনোনিমাসলি সার্চ রেজাল্ট এর জন্য
এটি সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এর
রেজাল্ট প্রদর্শনের ক্ষমতা অন্যদের
থেকে একটু বেশি।
৪)নট ইভিল (Not Evil ) : এর
সার্চ সিস্টেম অন্যদের থেকে একটু
আলাদা। ইউজার নিজেই ঠিক করতে
পারবে সে কিসের ভিত্তিতে রেজাল্ট
বের করতে চায়।
ডীপ ওয়েবের কিছু মার্কেটপ্লেসঃ
ডীপ ওয়েবের মুদ্রা হচ্ছে বিট কয়েন।
যা নিয়ে ২য় পর্বে আলোচনা হয়েছে।
এবার আলোচনা করবো কিছু
মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে।
মানুষের ওপর গবেষণা : ভাবতেও
শিউরে উঠতে হয় যে, ডিপ ওয়েবে এমন
সাইটও রয়েছে যেখানে মানুষের ওপর
গবেষণার কথা বলা হয়ে থাকে।
সাধারণত ছিন্নমূল মানুষের ওপর এই
ধরনের মেডিকেল এক্সপেরিমেন্ট
চালানো হয়ে থাকে। এই সব মানুষের
খোঁজ করার কেউ নেই। তাই গবেষণায়
এদের মৃত্যু হলেও কারো কিছুই আসে
যায় না। এটি এক পারফেক্ট ক্রাইম
ঠিক যেন এক পৈশাচিক গল্প; তবু
বাস্তব। রাস্তা থেকে তুলে আনা এ সব
মানুষ হয় স্যাডিজমের শিকার।
গবেষকরা যেভাবে নিজেদের পরিচয়
তুলে ধরে : ‘আমরা সবাই মেডিকেল
পার্সোনেল। আমাদের টিমে রয়েছে ৩
জন নার্স, ৬ জন মেডিকেল
শিক্ষার্থী, ২ জন ইন্টার্ন ও ২ জন
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। আমরা আমাদের
অবসর সময়ে গবেষণা চালাই। আমাদের
টেস্ট সাবজেক্ট নির্ধারিত সেলে বন্দি
অবস্থায় থাকে, প্রয়োজন অনুসারে
খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়।
পুষ্টিগুণ বিচারের প্রশ্ন ওঠে না কারণ
কেউই তারা বাঁচবে না।’ এই বিতর্কিত
সাইটের অস্তিত্ব নিয়ে অনেক প্রশ্ন
থাকলেও বিবেকবোধ ও মনুষ্যত্ববিহীন
এদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কিছু
বলতে বা ভাবতেও ভয় পায়।
অস্ত্র বিক্রির বড় প্ল্যাটফর্ম :
ডিপওয়েবের একটি সাইটের নাম ইউরো
আর্মস। যেখানে যে কোনো অস্ত্রই
খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
ক্রেডিট কার্ড ইনফরমেশন :
অনলাইনে কেনাকাটায় সবচেয়ে আগে
প্রয়োজন পড়ে একটি ভ্যালিড
ক্রেডিট কার্ড ও সোশ্যাল সিকিউরিটি
নাম্বারের। ভাবুন আপনি ছুটি কাটাতে
গিয়েছেন, আপনার ক্রেডিট কার্ড
ব্যবহার করতে গিয়ে জানলেন আপনার
কার্ডে যথেষ্ট পরিমাণে ব্যালেন্স
নেই। কারণ অন্য কেউ আপনার কার্ড
ব্যবহার করে টাকা তুলে নিয়েছে।
কার্ড ক্লোনের এই ঘটনা যেন
নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এই ধরনের
ডিপওয়েব সাইট যারা কার্ড ফ্রডের
সঙ্গে যুক্ত, ডিপ ওয়েবে যাদের বিশেষ
সুনাম রয়েছে। এমন একটি .onion
ডিপওয়েবসাইটের নাম আটলান্টিক
কার্ডিং। তাদের প্রিমিয়াম সার্ভিসে
রয়েছে ইনফিনিট কার্ড ইনফরমেশন।
যত বেশি মূল্য তত বেশি বিট কয়েন।
জেনারেল সার্ভিস পাওয়া যায় ৮০
ইউএস ডলারে। আর কি লাগে?
বেটিং বা ম্যাচ ফিক্সিং স্পট : বাজি
ধরতে চাইছেন বড় অংকের? ভাবছেন
ম্যাচ ফিক্স করবেন? তার জন্যও
রয়েছে ডিপওয়েব সাইট। ঘোড়া দৌড়
থেকে শুরু করে যাবতীয় ম্যাচ
ফিক্সিংয়ের জন্য গড়ে উঠেছে আলাদা
আলাদা ওয়েবসাইট। কেমন করে কাজ
করছে তারা তা যারা জড়িত তারাই
বলতে পারবেন। তবে লেনদেনের মাধ্যম
সেই বিট কয়েন।
লুকোনো উইকি : এতক্ষণ ডিপওয়েব
.onion সাইটস সম্পর্কে যা বলা
হয়েছে তা বিশাল আইসবার্গের ক্ষুদ্র
অংশ মাত্র। গুপ্তধন তো লুকিয়ে
রয়েছে হিডেন উইকিতে। ডিপওয়েব
সম্পর্কে জানা-অজানা সব রয়েছে এই
ডিপওয়েব পোর্টালে। উইকিপিডিয়া যদি
হয় তথ্যভাণ্ডার তবে হিডেন উইকি
ডিপওয়েবের তথ্যের মহাসমুদ্র। ।
সিল্ক রোডঃ সিল্ক রোড একটি
অনলাইন কালো বাজার যা কেবলমাত্র
টর ব্রাউজিং ক্লায়েন্টের মাধ্যমে
অ্যাক্সেস করা যায়। এই সাইটে
শুধুমাত্র অবৈধ জিনিস পত্র গুলো
পাওয়া যায়। সাধারণত এসব সাইট
গুলোতে এফবিআই নজরদারি রাখে।
বলে রাখা ভালো যে সিল্ক রোডের
মালিক বর্তমানে জেলে রয়েছে।
জেনে নিলাম ডীপ ওয়েব এর মার্কেট
প্লেস গুলো নিয়ে। মনের মধ্যে উকি
ঝুকি দিচ্ছে অনেক প্রশ্ন। তাই নয়
কি?
আসুন, জেনে নেই ডীপ ওয়েব নিয়ে কিছু
সহজ প্রশ্নোত্তর।
ডীপ ওয়েব কিভাবে তৈরি হয়?
ডিপ নেটওয়ার্ক গুলো আসলে
বেশিরভাগই ব্যাক্তিগত উদ্যোগে
তৈরী। এগুলো বেশিরভাগই হোম
সার্ভারে তৈরী। ফলে ডাটাস্পেস
তুলনামূলক ভাবে কম। একমাত্র টর
ছাড়া কেউ ডীপ ওয়েব ডাটাসেন্টার
দেয় না। দিলেও সেটার মূ্ল্য এতো বেশি
যে সবাই নেয় না। ইনডেক্স না হওয়া
ডাটা আর সংরক্ষিত ডাটার মধ্যে
পার্থক্য আছে !
ডার্ক ওয়েব কি ডোমেইন ব্যাবহার
করে থাকে?
ডার্ক ওয়েবের আরেকটি বিশেষত্ব হল
এরা ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের
সাইটগুলোর মত টপ লেভেল ডোমেইন
(যেমন .com) ব্যবহার না করে
“Pseudo Top Level
Domain” ব্যবহার করে যা কিনা
মূল ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবে না থেকে
দ্বিতীয় আরেকটি নেটওর্য়াকের
অধীনে থাকে।
টপ লেভেল ডোমেইনেও অনেক ডীপ
ওয়েব সাইট আছে। কিন্তু সেগুলোতে
ঢোকার জন্য তাদের রাউটার এর সাথে
কানেক্টেড হতে হবে নয়তো নিজের
আইপি সেই সার্ভারে হোয়াইট লিষ্ট
করতে হবে।
ডার্ক ওয়েবের জন্ম কেনো হয়েছিলো?
ডার্ক ওয়েব এর জন্ম হয়েছিলো
সিকিউরিটি এজেন্সীর নজরদারী থেকে
বাঁচার জন্য। প্রাথমিক সময়ে
সিকিউরিটি এজেন্সী গুলো বেশি বেড়ে
গিয়েছিলো। তাদের নজরদারীর পরিমান
এতো বেশী হয়েছিলো যে তারা বেশ কিছু
গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তির ব্যাক্তিগত
তথ্য ব্যবহার করে অনেক তথ্য
হাতিয়ে নিয়েছিল। যদিও সেসব নিয়ে
পরে অনেক আলোচনা সমালোচনা
হয়েছে। তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্যই
মূলত ডীপ ওয়েবের আইডিয়া জন্ম
নেয়।
ডীপ ওয়েবের জন্য কি আলাদা
সফটওয়্যার বাধ্যতামূলক?
ডীপ ওয়েব মানেই যে সেটার জন্য
আলাদা সফটওয়্যার লাগবে এমন নয়।
সেটা সর্বসাধারন এর দৃষ্টির আড়ালে,
সেটাই ডীপ ওয়েব।
মোবাইল থেকে কিভাবে ডীপ ওয়েব ঘুরে
আসবেন?
যদি হাতের এন্ড্রোয়েড ফোনটি হয় রুট
করা তবে প্লে স্টোর থেকে "Orbot"
ডাউনলোড করে নিলেই চলে যেতে
পারবেন ডীপ ওয়েবে।
জন্য আমাদের ধারাবাহিক সাত পর্বের
আজকে ৩য় পর্ব।
আমরা প্রথম পর্বে জেনেছিলাম ডার্ক
ওয়েব, ডীপ ওয়েব এবং সার্ফেস ওয়েব
সম্পর্কে। টর ব্রাউজার দিয়ে হয়তো
অনেকেই ডীপ ওয়েবে ঘাটাঘাটি শুরু ও
করে দিয়েছেন। ২য় পর্বে
জানিয়েছিলাম বিটকয়েন সম্পর্কে।
ডীপ ওয়েবের উপকারী অংশ গুলো নিয়ে
কথা হয়েছিলো। আজকে হবে অপর
অজানা অংশ নিয়ে।
চলুন, একত্রে হারিয়ে যাই ইন্টারনেট
এর রহস্যময় জগতে।
ডীপ ওয়েবের সার্চ ইঞ্জিনঃ
১) টর্চ (Torch) : ডিপ ওয়েব সার্চ
ইঞ্জিন গুলোর মধ্যে মোটামোটি প্রথম
দিকে তৈরী সার্চ ইঞ্জিনটি এখনো
আগের মতই জনপ্রিয়। মিলিয়নের ও
অধিক হিডেন রেজাল্ট বের করতে পারে
এটি।
২)ডাক ডাক গো (Duck Duck
Go): ২০০৮ সালে প্রকাশ হওয়া এই
সার্চ ইঞ্জিন এখনো জনপ্রিয় সার্চ
ইঞ্জিনের তালিকায় রয়েছে। ছোটদের
খেলা duck, duck, goose থেকে
এর এমন নামকরন।
৩)অনিয়ন ক্যাব(onion cab) :
এনোনিমাসলি সার্চ রেজাল্ট এর জন্য
এটি সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এর
রেজাল্ট প্রদর্শনের ক্ষমতা অন্যদের
থেকে একটু বেশি।
৪)নট ইভিল (Not Evil ) : এর
সার্চ সিস্টেম অন্যদের থেকে একটু
আলাদা। ইউজার নিজেই ঠিক করতে
পারবে সে কিসের ভিত্তিতে রেজাল্ট
বের করতে চায়।
ডীপ ওয়েবের কিছু মার্কেটপ্লেসঃ
ডীপ ওয়েবের মুদ্রা হচ্ছে বিট কয়েন।
যা নিয়ে ২য় পর্বে আলোচনা হয়েছে।
এবার আলোচনা করবো কিছু
মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে।
মানুষের ওপর গবেষণা : ভাবতেও
শিউরে উঠতে হয় যে, ডিপ ওয়েবে এমন
সাইটও রয়েছে যেখানে মানুষের ওপর
গবেষণার কথা বলা হয়ে থাকে।
সাধারণত ছিন্নমূল মানুষের ওপর এই
ধরনের মেডিকেল এক্সপেরিমেন্ট
চালানো হয়ে থাকে। এই সব মানুষের
খোঁজ করার কেউ নেই। তাই গবেষণায়
এদের মৃত্যু হলেও কারো কিছুই আসে
যায় না। এটি এক পারফেক্ট ক্রাইম
ঠিক যেন এক পৈশাচিক গল্প; তবু
বাস্তব। রাস্তা থেকে তুলে আনা এ সব
মানুষ হয় স্যাডিজমের শিকার।
গবেষকরা যেভাবে নিজেদের পরিচয়
তুলে ধরে : ‘আমরা সবাই মেডিকেল
পার্সোনেল। আমাদের টিমে রয়েছে ৩
জন নার্স, ৬ জন মেডিকেল
শিক্ষার্থী, ২ জন ইন্টার্ন ও ২ জন
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। আমরা আমাদের
অবসর সময়ে গবেষণা চালাই। আমাদের
টেস্ট সাবজেক্ট নির্ধারিত সেলে বন্দি
অবস্থায় থাকে, প্রয়োজন অনুসারে
খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়।
পুষ্টিগুণ বিচারের প্রশ্ন ওঠে না কারণ
কেউই তারা বাঁচবে না।’ এই বিতর্কিত
সাইটের অস্তিত্ব নিয়ে অনেক প্রশ্ন
থাকলেও বিবেকবোধ ও মনুষ্যত্ববিহীন
এদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কিছু
বলতে বা ভাবতেও ভয় পায়।
অস্ত্র বিক্রির বড় প্ল্যাটফর্ম :
ডিপওয়েবের একটি সাইটের নাম ইউরো
আর্মস। যেখানে যে কোনো অস্ত্রই
খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
ক্রেডিট কার্ড ইনফরমেশন :
অনলাইনে কেনাকাটায় সবচেয়ে আগে
প্রয়োজন পড়ে একটি ভ্যালিড
ক্রেডিট কার্ড ও সোশ্যাল সিকিউরিটি
নাম্বারের। ভাবুন আপনি ছুটি কাটাতে
গিয়েছেন, আপনার ক্রেডিট কার্ড
ব্যবহার করতে গিয়ে জানলেন আপনার
কার্ডে যথেষ্ট পরিমাণে ব্যালেন্স
নেই। কারণ অন্য কেউ আপনার কার্ড
ব্যবহার করে টাকা তুলে নিয়েছে।
কার্ড ক্লোনের এই ঘটনা যেন
নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এই ধরনের
ডিপওয়েব সাইট যারা কার্ড ফ্রডের
সঙ্গে যুক্ত, ডিপ ওয়েবে যাদের বিশেষ
সুনাম রয়েছে। এমন একটি .onion
ডিপওয়েবসাইটের নাম আটলান্টিক
কার্ডিং। তাদের প্রিমিয়াম সার্ভিসে
রয়েছে ইনফিনিট কার্ড ইনফরমেশন।
যত বেশি মূল্য তত বেশি বিট কয়েন।
জেনারেল সার্ভিস পাওয়া যায় ৮০
ইউএস ডলারে। আর কি লাগে?
বেটিং বা ম্যাচ ফিক্সিং স্পট : বাজি
ধরতে চাইছেন বড় অংকের? ভাবছেন
ম্যাচ ফিক্স করবেন? তার জন্যও
রয়েছে ডিপওয়েব সাইট। ঘোড়া দৌড়
থেকে শুরু করে যাবতীয় ম্যাচ
ফিক্সিংয়ের জন্য গড়ে উঠেছে আলাদা
আলাদা ওয়েবসাইট। কেমন করে কাজ
করছে তারা তা যারা জড়িত তারাই
বলতে পারবেন। তবে লেনদেনের মাধ্যম
সেই বিট কয়েন।
লুকোনো উইকি : এতক্ষণ ডিপওয়েব
.onion সাইটস সম্পর্কে যা বলা
হয়েছে তা বিশাল আইসবার্গের ক্ষুদ্র
অংশ মাত্র। গুপ্তধন তো লুকিয়ে
রয়েছে হিডেন উইকিতে। ডিপওয়েব
সম্পর্কে জানা-অজানা সব রয়েছে এই
ডিপওয়েব পোর্টালে। উইকিপিডিয়া যদি
হয় তথ্যভাণ্ডার তবে হিডেন উইকি
ডিপওয়েবের তথ্যের মহাসমুদ্র। ।
সিল্ক রোডঃ সিল্ক রোড একটি
অনলাইন কালো বাজার যা কেবলমাত্র
টর ব্রাউজিং ক্লায়েন্টের মাধ্যমে
অ্যাক্সেস করা যায়। এই সাইটে
শুধুমাত্র অবৈধ জিনিস পত্র গুলো
পাওয়া যায়। সাধারণত এসব সাইট
গুলোতে এফবিআই নজরদারি রাখে।
বলে রাখা ভালো যে সিল্ক রোডের
মালিক বর্তমানে জেলে রয়েছে।
জেনে নিলাম ডীপ ওয়েব এর মার্কেট
প্লেস গুলো নিয়ে। মনের মধ্যে উকি
ঝুকি দিচ্ছে অনেক প্রশ্ন। তাই নয়
কি?
আসুন, জেনে নেই ডীপ ওয়েব নিয়ে কিছু
সহজ প্রশ্নোত্তর।
ডীপ ওয়েব কিভাবে তৈরি হয়?
ডিপ নেটওয়ার্ক গুলো আসলে
বেশিরভাগই ব্যাক্তিগত উদ্যোগে
তৈরী। এগুলো বেশিরভাগই হোম
সার্ভারে তৈরী। ফলে ডাটাস্পেস
তুলনামূলক ভাবে কম। একমাত্র টর
ছাড়া কেউ ডীপ ওয়েব ডাটাসেন্টার
দেয় না। দিলেও সেটার মূ্ল্য এতো বেশি
যে সবাই নেয় না। ইনডেক্স না হওয়া
ডাটা আর সংরক্ষিত ডাটার মধ্যে
পার্থক্য আছে !
ডার্ক ওয়েব কি ডোমেইন ব্যাবহার
করে থাকে?
ডার্ক ওয়েবের আরেকটি বিশেষত্ব হল
এরা ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের
সাইটগুলোর মত টপ লেভেল ডোমেইন
(যেমন .com) ব্যবহার না করে
“Pseudo Top Level
Domain” ব্যবহার করে যা কিনা
মূল ওর্য়াল্ড ওয়াইড ওয়েবে না থেকে
দ্বিতীয় আরেকটি নেটওর্য়াকের
অধীনে থাকে।
টপ লেভেল ডোমেইনেও অনেক ডীপ
ওয়েব সাইট আছে। কিন্তু সেগুলোতে
ঢোকার জন্য তাদের রাউটার এর সাথে
কানেক্টেড হতে হবে নয়তো নিজের
আইপি সেই সার্ভারে হোয়াইট লিষ্ট
করতে হবে।
ডার্ক ওয়েবের জন্ম কেনো হয়েছিলো?
ডার্ক ওয়েব এর জন্ম হয়েছিলো
সিকিউরিটি এজেন্সীর নজরদারী থেকে
বাঁচার জন্য। প্রাথমিক সময়ে
সিকিউরিটি এজেন্সী গুলো বেশি বেড়ে
গিয়েছিলো। তাদের নজরদারীর পরিমান
এতো বেশী হয়েছিলো যে তারা বেশ কিছু
গুরুত্বপূর্ন ব্যাক্তির ব্যাক্তিগত
তথ্য ব্যবহার করে অনেক তথ্য
হাতিয়ে নিয়েছিল। যদিও সেসব নিয়ে
পরে অনেক আলোচনা সমালোচনা
হয়েছে। তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্যই
মূলত ডীপ ওয়েবের আইডিয়া জন্ম
নেয়।
ডীপ ওয়েবের জন্য কি আলাদা
সফটওয়্যার বাধ্যতামূলক?
ডীপ ওয়েব মানেই যে সেটার জন্য
আলাদা সফটওয়্যার লাগবে এমন নয়।
সেটা সর্বসাধারন এর দৃষ্টির আড়ালে,
সেটাই ডীপ ওয়েব।
মোবাইল থেকে কিভাবে ডীপ ওয়েব ঘুরে
আসবেন?
যদি হাতের এন্ড্রোয়েড ফোনটি হয় রুট
করা তবে প্লে স্টোর থেকে "Orbot"
ডাউনলোড করে নিলেই চলে যেতে
পারবেন ডীপ ওয়েবে।
No comments